এখনই শেয়ার করুন।

Debra’s couple celebrated their son’s birthday in the middle of distressed children.

বিলাসবহুল বহুলতা বাদ দিয়ে দু:স্থ শিশুদের মধ্যে কেক কেটে ছেলের জন্মদিন পালন করলেন ডেবরার দম্পতি।হাজার লোককে খাইয়ে নয় বরং দুস্থ বাচ্চাদের মধ্যে কেক কেটে নিজের একমাত্র পুত্রের জন্মদিন পালন করলেন দম্পতি ।

পেট পুরে খাওয়া-দাওয়ার শেষে দেওয়া হল উপহার জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শিশুদের। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়ে দু:স্থ শিশুদের নিয়ে কেক কাটা ও ভুরিভোজের মধ্য দিয়ে নিজের ছেলে অর্পিতের জন্মদিল পালন করলো ডেবরার ব্যাবসায়ী লালমোহন পাত্র। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় লালমোহন পাত্রের পুত্র অর্পিত পাত্র এবারে পাঁচ বছরে পা দিল। ছোটবেলা থেকে অর্পিতকে নিয়ে বাবা মায়ের অনেক স্বপ্ন। হৈ হুল্লোড় বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে বিরাট যাক চমক পূর্ণ আয়োজন না করে বরং দুস্থ শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করলো আর তা নিয়ে শুক্রবার উৎসবের চেহারা নিল বিনপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলে। ডেবরার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী লালমোহন পাত্র ও তার স্ত্রী অপর্ণা পাত্র বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর চালিয়ে বিনপুর ব্লকের একটি স্কুলের সন্ধান পান।

যেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দুস্থ শিশুরা পড়াশোনা করে একসাথ। সেই বাচ্চাদেরকে নিজেদের ভেবে তারা শুক্রবার ওই স্কুলে গিয়ে কেক কেটে ছেলে অর্পিতের জন্মদিন পালন করল বাবা-মা। কেক কাটার পর ছিল খাওয়া-দাওয়ার এলাহী আয়োজন।

পাতেছিল আলু ভাজা ভাত ডাল আলু পোস্ত মাংস চাটনি পাপড় এবং মিষ্টি সঙ্গে ছিল জন্মদিনের পায়েস। এছাড়াও বাচ্চাদের হাতে তুলে দেয়া হলো উপহার। আর এইসব আয়োজনে খুশির হাওয়া ওই দুস্থ ও মেধাবী শিশুদের মধ্যেও। এদিন সকাল থেকেই বেলুন সাজিয়ে জন্মদিনের আয়োজন চলে, সঙ্গে কেক কাটার মজা। লালমোহন পাত্র এবং স্ত্রী অপর্না পাত্র বলেন অর্পিত আমাদের একমাত্র ছেলে। আমরা এই Covid বিপর্যয়ের মাঝে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।এই পরিস্থিতিতে আর পাঁচটা পরিবারের মত সবার সঙ্গে হইহুল্লোড় করি হাজার লোককে খাওয়ানোর কোন ইচ্ছে আমাদের ছিল না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে জন্মদিন পালন করার। তাই তাদের যেমন খাওয়া দাওয়া করিয়েছি তেমনি কেক কেটে ছেলে অর্পিতের সমস্ত শখ আল্লাদ পূরণ করেছি।

যদিও অর্পিত আর দশটা বাচ্চাদের থেকে আলাদা। ছোটবেলা থেকে যা দেখে তাই আঁকে। সে উল্টো ভাবে ৯৯ থেকে এক বলতে পারে। সকাল থেকে সন্ধ্যে নয় বরং অর্পিতের পড়াশোনা ও রাত্রি বারোটার পর। চলে রাত্রি তিনটে পর্যন্ত। অর্পিতের ইচ্ছে ছিল তার জন্মদিন এভাবে পালন করার। আমরা কেবলমাত্র তার পাশে থেকে তাকে উৎসাহ দিতে পেরেছি।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *