এখনই শেয়ার করুন।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি বৈধ, এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। ইডির গ্রেফতারি ও নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল।

সেই আর্জি খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মার বেঞ্চে গত ৩ এপ্রিল এই আর্জির শুনানি হয়েছিল এবং সেদিন রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। তারপর আজ কেজরিওয়ালের আর্জি সংক্রান্ত মামলার রায় জানাল হাইকোর্ট। আপাতত, জেলেই থাকতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। কেজরিওয়াল তো বটেই, আম আদমি পার্টির তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছে যে, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আর্জির ভিত্তিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল অন্যদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছিলেন এবং অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ইডি তাঁর বিরুদ্ধে যে তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছে তার ভিত্তিতেই এই পর্যবেক্ষণ আদালতের। ইডি আগেই দাবি করেছে, আবগারি নীতি তৈরি করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আপ নেতারা প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।

পাশাপাশি গোয়ায় যারা আপ-এর প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁদের দলের তরফে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়েছিল ভোটে লড়ার জন্য। এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্ট মনে করছে, ইডি এই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত প্রমাণ আদালতে পেশ করতে পেরেছে। তাই এই গ্রেফতারিকে বেআইনি বলা যাবে না।গত ২১ মার্চ ইডি গ্রেফতার করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। শুরুর দিকে ইডি হেফাজতে থাকলেও পরে আদালতের নির্দেশে জেলে যান তিনি। ভারতে এই প্রথম কোনও কর্মরত মুখ্যমন্ত্রী জেল খাটছেন। আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর জেলে থাকার কথা। তার মধ্যেই গ্রেফতারি চ্যালেঞ্জ করার মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। তাতেও স্বস্তি পেলেন না কেজরিওয়াল। এদিকে, এই মামলায় গত সপ্তাহে আপ নেতা সঞ্জয় সিং জামিন পেয়েছেন।

তাই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জামিন পেলে লোকসভা ভোটের আগে বড় অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যাবে আপ। কিন্তু তেমনটা হল না। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে আম আদমি পার্টি। তবে সেক্ষেত্রেও যে খুব একটা লাভ হবে, এমনটা মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *