Junior doctors for the Chief Minister’s house, will find a solution?
সংবাদ জনকণ্ঠ নিউজ ডেস্ক: আজ এখনও পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী – ডাক্তারদের বৈঠক হচ্ছে। বিকেল পাঁচটায় যে বৈঠক ডাকা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে, সেখানেই যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা।এদিন বেলা ১২টা নাগাদ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জুনিয়র চিকিৎসকদের ফের মেইল করেন। তাঁদেরকে বিকেল ৫টায় বৈঠকে আসতে বলা হয় সেখানে। তবে একই সাথে এও বলা হয় এটাই সরকারের তরফে পঞ্চম তথা শেষ মেইল। মেইলে উল্লেখ করা হয়, কোনও রকম কোনও ভিডিওগ্রাফি, লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব হবে না। তাঁদেরকে মিনিটস রেকর্ড দেওয়া হবে, যেখানে দু’তরফের স্বাক্ষর থাকবে। এই মেইল আসা মাত্রই ফের বৈঠকে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
তারা জানান, গত শনিবার বৈঠক না হওয়ার পর তারা সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন তারা আর মেইল করবেন না সরকারকে। তাতে সরকারের যেমন মনে হয় সেরকম করতে পারে। তবে এদিন এই মেইল আসতেই তাঁদের মনে হয় সম্পূর্ণ বিষয়টি ভেবে দেখার সময় এসেছে। সেই অনুযায়ী হয়ে যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের জিবি মিটিং। মিটিং-এ ফের তিনটি শর্তের উল্লেখ করা হয়। মুখ্যসচিবকে পাল্টা মেইল করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সেখানে তারা বলেন, ভিডিওগ্রাফি হবে দু’তরফে। সম্ভব না হলে প্রশাসনের তরফে ভিডিওগ্রাফি করে মিটিং শেষেই ভিডিও ফাইল হস্তান্তর করতে হবে। তাতেও রাজি না হলে দু’পক্ষের তরফে মিনিটস রেকর্ড করবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে একজনকে নিয়ে যাওয়া হবে সেই কাজে। কাজ শেষ হলেই বৈঠকের স্বাক্ষরিত কপি তারা নিয়ে আসবেন।
প্রথমে প্রস্তাবে রাজি না হলে দ্বিতীয়, দ্বিতীয়তে রাজি না হলে তৃতীয় মানতে হবে রাজ্য সরকারকে। তাঁদের এই মেইল পাওয়া মাত্রই মুখ্যসচিব দেরী না করে পাল্টা জবাব দেন। বৈঠকের স্বাক্ষরিত কপি তারা দুতরফে স্বাক্ষরিত করে আজই হাতে পেয়ে যাবেন। কিন্তু সেখানেও থেকে যায় রহস্য। যার জন্যে ফের পাল্টা মেইল করতে হয় চিকিৎসকদের। সেখানে স্বাক্ষরের কথা থাকলেও, দুতরফেই যে মিনিটস রেকর্ড করা হবে, সেই বিষয়ে মুখ্যসচিব কিছুই উল্লেখ করেননি। তাই তা নিয়ে ফের কোনও জটিলতা তৈরি হবে কিনা, সেই বিষয়টি ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।
আপাতত, বাসে করে কালীঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন চিকিৎসকদের ৩০ জনের প্রতিনিধি দল। একই সাথে চিকিৎসকেরা তাঁদের ৫ দফা দাবিতেও অনড় থাকছেন। বৈঠকে কি হয় সেটাই এখন দেখার।