১৯ এপ্রিল লোকসভা ভোটের প্রথম দফার দিন। দেশের মোট ১০২টি আসনে ভোট হবে সেদিন। এরমধ্যে রয়েছে বাংলার তিন আসন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। মঙ্গলবার স্পেশাল পুলিশ পর্যবেক্ষক এই তিন জেলায় যাবেন। প্রথম দফার নির্বাচনের জেলাগুলি নিজে পরিদর্শন করবেন তিনি। একইসঙ্গে জেলাশাসকদের সঙ্গে কথাও বলবেন তিনি।
অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা সামনে এনেছে নির্বাচন কমিশন। আর এই এতোকিছুর মধ্যে ভোটারদের চিন্তা বাড়াচ্ছে ভোটার কার্ড। কেননা এখনও বহু সংখ্যক ভোটারই হাতে পাননি ভোটার কার্ড। কেউ নতুন ভোটার, তো আবার কারোর পদবী পরিবর্তন হয়েছে। আবার কারোর ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে। এমন অধিকাংশ কারণ থাকলেও, সেই উল্লেখিত ভোটার কার্ড হাতে পাননি ভোটাররা। আর তাতেই প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে আদপেও কি ভোট দেওয়া সম্ভব হবে?সেই সমস্যায় এবার সমাধান করল নির্বাচন কমিশন। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ ১০টি পরিচয়পত্রের মধ্যে একটিও না থাকলে বিএলও বা ব্লক লেভেল অফিসারদের দেওয়া স্লিপের ভিত্তিতে ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।
বর্তমানে জলপাইগুড়ির ঘটনার প্রেক্ষিতে নতুন করে বিষয়টি কার্যকর করতে চলেছে কমিশন।যে কোনও বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে এ ধরনের নিয়মের শিথিলতা থাকতেই পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, জলপাইগুড়িতে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে তারপর সেখানকার মানুষের পক্ষে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথি খোয়ানো অস্বাভাবিক কিছু নয়।
বাড়িঘর গুঁড়িয়ে গিয়েছে তাঁদের। ঝড়ের দাপটে ঘরের কোন জিনিস যে কোথায় গিয়ে পড়েছে, খোঁজ পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু ভোটদান মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। আর ভোট ঘোষণার পর প্রশাসনের সবটাই নির্বাচন কমিশনের হাতে। তাই তারা চাইলে এমন সিদ্ধান্ত নিতেই পারে।