ফুটপাত দখলমুক্ত করণ অভিযান চলছে জোর কদমে। বিভিন্ন পৌরসভা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন ফুটপাত অবিলম্বে দখলমুক্ত করতে হবে। বেআইনিভাবে ফুটপাতে ব্যবসা করা চলবে না।
প্রয়োজনে পুনর্বাসন দিতে হবে। তারপর থেকেই লাগাতার শক্ত হাতে ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযানে নেমে পড়েছে পুলিশ। যদুবাবুর মার্কেট থেকে গরিয়াহাট মার্কেট বিদ্যাপতি সেতু থেকে কোলে মার্কেটে বিভিন্ন প্রান্তে চলছে এই উচ্ছেদ অভিযান। ফুটপাত দখল মুক্ত করবার জন্য সকাল থেকেই লাঠি হাতে নেমে পড়েছে পুলিশ। ফুটপাতে ব্যবসা করা হকার এবং দোকানদারদের অন্যত্র উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে এবার রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন পৌরসভায় খারাপ ফলাফল হয়েছে তাই আইওয়াশ করার জন্য উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে রাজ্য। আইএসএফ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন আসলে দরিদ্রদের উপর শোষণ চালাচ্ছে সরকার। আর তাই এভাবে জোর জুলুম করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের। ক্রমাগত চালানো হচ্ছে নিপীড়ন। তবে এই সমস্যার সমাধান হবে টাকা দিলেই। এতদিন তোলা আদায় করতে পারেনি পুলিশ এবার হকাররা তোলা দিলেই তাদের আবার বসার জায়গা করে দেওয়া হবে।
এটাই দলের সুপ্রিমোর নির্দেশ বলে কটাক্ষ নওশাদ সিদ্দিকীর। ধমকের ভঙ্গিতে আসলে মুখ্যমন্ত্রী তোলা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে বলেও দাবি করেন নওশাদ। তবে কি হকার এবং অস্থায়ী দোকানদারদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাবে নওশাদ সিদ্দিকীকে। কিংবা পুনর্বাসনের দাবিতে সোচ্চার হবেন বিধানসভায়?