এখনই শেয়ার করুন।
After the body donation, how will the former chief minister?

সংবাদ জনকণ্ঠ ডেস্ক: কীভাবেই বা রাখা হবে তাঁকে NRS-এ? প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ৮ তারিখ দুপুরে পাম অ্যাভিনিউ-এর বাড়ি থেকে শেষ বারের মতো বিদায় নিয়েছেন তিনি। আর আজ থেকে তাঁর নতুন ঠিকানা নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ। কেননা মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার বদ্ধ ছিলেন এই মহান নেতা। কারণ একটাই, আগামী প্রজন্মের শিক্ষার জন্য নিজের দেহ দান করে যেতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে।কিন্তু ঠিক কোন পদ্ধতিতে তাঁর মরদেহ সংরক্ষণ করা হবে এনআরএস হাসপাতালে? বিশিষ্ট্য ব্যক্তিদের দেহ সংরক্ষণের জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে কি?

এই প্রতিবেদনে জেনে নিন সেই সকল তথ্যই।যে কোনও হিম ঘরে দেহ রাখা হয় মূলত ‘কোল্ড স্টোরেজের’ মধ্যে। এক নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হিমাঙ্কের নীচে রাখা হয় মরদেহকে। যেহেতু এই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য মরদেহকে রাখা হয় তাই কোনও রাসায়নিক বা অন্য কোনও পদ্ধতির অবলম্বনের প্রয়োজন পড়ে না। হিমঘরে যে তাপমাত্রায় মরদেহ রাখা হয়, তাতে দেড় থেকে দু’দিন দেহের কোনও ক্ষতি হয় না। তা ভাল থাকে।তবে সেই দেহ যদি তারপরে দান করা হয়, তা হলে তখন সেই দেহকে সংরক্ষণের জন্য কিছু বিশেষ রাসায়নিকের সাহায্য নেওয়া হয়। তবে সেই পদ্ধতি শুরু করার আগে প্রয়োজন ঠিক কোন কারণে, কী পরিস্থিতিতে সেই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে তা জানা।

এমনকি মৃত্যুর সময়ে বা তার আগে কোনও কারণে কোনও অঙ্গ নষ্ট হয়ে গিয়েছে কি না তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দেহ ঠিক রাখতে একাধিক রাসায়নিক ইনজেক্ট করা হয়। দেহের অবস্থার উপরে নির্ভর করেই সেই অনুপাত নির্ধারণ করা হয়।চিকিৎসকদের কথায়, যদি সঠিক অনুপাতে সব রাসায়নিক দেহে ইনজেক্ট করা যায় তা হলে একটি দেহ প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ বছর ডাক্তারি পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটাও ঠিক যে, সাড়ে চার থেকে পাঁচ বছর পরে আর দেহ পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করার মতো অবস্থায় থাকে না। তখন সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশন বা পুরসভাতে খবর দেওয়া হয়, দেহের শেষ কৃত্য সম্পন্ন করার জন্য।বিশেষ ব্যক্তির দেহ সংরক্ষণের জন্য কি বিশেষ নজর দেওয়া হয়?

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একবার দেহদান করা হয়ে গেলে তারপর আর পাঁচটা দেহের মতো করেই একসঙ্গে সেই দেহকে রাখা হয়। এমনকি যখন কোনও ক্লাসে সেই দেহ ব্যবহার করা হয়, তখন ছাত্র ছাত্রীদের সেই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যাতে তাঁরা সমাজের বিশেষ কোনও ব্যক্তির দেহ দেখে তার সঙ্গে কোনও রকম আবেগে জড়িয়ে না পড়ে। অর্থাৎ, সারা জীবন মানুষের জন্যে কাজ করে আজ দেহদানের মধ্যে দিয়ে সেই সাধারণের মধ্যেই থেকে যাবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আর গোটা রাজ্যকে দিয়ে যাবেন অসাধারণ এক শিক্ষা!

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *