বড় সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য বিভাগের রাজ্যের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের স্বাস্থ্যপরিসেবায় গতি আনতে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয় প্রতিটি মানুষকে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেই বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে এই পরিষেবা পাওয়া যায়। তবে স্বাস্থ্য সাথী মানুষের প্রয়োজনে চালু করা হলেও তা নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে বারবার। কখনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী টাকা কারচুপি, কখনো আবার প্রভাবশালীদের হাতে স্বাস্থ্য সাথীর অপব্যবহার।
এমন অভিযোগ অহরোহ উঠতেই থাকে। আসরে নামেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য সাথীতে অনিয়ম ঠেকাতে রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ আধিকারিক থেকে অন্যান্য আমলাদের নির্দেশ দেন ব্যবস্থা নেওয়ার। একসময় অর্থপেডিক অপারেশনে স্বাস্থ্য সাথী সুবিধার ক্ষেত্রে কাটছাঁট করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে সকল বেসরকারি কিংবা সরকার পোষিত হাসপাতাল গুলি এই স্বাস্থ্য সাথীর অপব্যবহার করবে তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও আটকানো যাচ্ছে না বেনিয়ম। এবার স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবায় আরো কঠোরতার পথে রাজ্য। দশদিনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি থাকলে আর স্বাস্থ্য সাথী হয় মেডিকেল অডিট হবে। সেই খরচ টানতে হবে রোগীর পরিবারকে।
এছাড়া যে কোনো ধরনের অপারেশনে সময়, অন্য শারীরিক সমস্যা ধরা পড়লে। স্বাস্থ্য সাথীর বাইরে ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। অর্থাৎ গাইনি অপারেশনে প্রোস্টেট সমস্যা ধরা পড়লে তার চিকিৎসার ভার বহন করতে হবে রোগীকে। মেডিকেল অডিটেরপর পাশ হবে বিলের টাকা। স্বাস্থ্য সাথীর বিলে অনিয়ম ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ স্বাস্থ্য দপ্তরের। ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে হাসপাতালে সুপারিনটেনডেন্টদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে এই নোটিশ।