এখনই শেয়ার করুন।

মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত গণতান্ত্রিক অধিকার ভোট প্রদান অন্তত তেমনটাই বলে থাকে নির্বাচন কমিশন। এই ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করেই তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার সত্যতা প্রয়োগ করে দেখালেন প্রাক্তন বিজেপি কর্মী। রায়গঞ্জ পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী বেবী মন্ডল এমনই এক কান্ড করে দেখালেন।

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেও তার প্রতি সন্দিহান ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্বরা এমনটাই অভিযোগ বেবী দেবীর। তিনি ভোট দিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে এনেছিলেন বুথের পাশে বসে ছিলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার উপ পৌর প্রশাসক অরিন্দম সরকার। অরিন্দম সরকারকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার ছবি দেখান তিনি। ভোটকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও কিভাবে ভোটার মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সদ্য দল ছেড়ে আসা ওই মহিলা বিজেপি কর্মীর দাবি তিনি স্বেচ্ছায় ভোট দেবার ছবি তুলেছেন কেউ তাকে প্ররোচিত করেনি। কিংবা চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। কিন্তু বুথে মোবাইল নিয়ে যেতে কেউ তাকে বাধা দেয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি তবে দলের সঙ্গে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয় বিজেপিতে যোগদান করেন। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী বড় ব্যবধানে এগিয়েছিলেন। বিজেপিকে দুর্বল করতে পারলেই বিজেপির ব্যবধান কমতে পারে বলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা মনে করছেন। তাই বিজেপির সক্রিয় কর্মী বেবি দেবী ছিলেন তৃণমূলের টার্গেট।

তৃণমূলের যোগদান করার পরেও সবুজ শিবিরের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। তবে ওই মহিলা কর্মীর মনে হয়েছিল তিনি তৃণমূলের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। সেই সন্দেহ থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে এই কাজ করেছেন বলে জানান। এদিকে এই প্রসঙ্গে উপ পৌর প্রশাসক অরিন্দম সরকারের দাবি তিনি অতি উৎসাহিত হয়ে এই কাজ করেছেন মোবাইল নিয়ে যাওয়ার দায় তিনি ঘারে নেবেন না। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তারাই ব্যবস্থা নেবে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *