তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুর: গত ২৮ শে নভেম্বরএকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বালিচকের রেল ক্রসিংয়ের গেট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই রেলগেট ব্যবহার করেন পারাপারের জন্য। কিন্তু কোনো বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়াই গেট বন্ধ করে দেওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে বহুদিন ধরেই বিকল্প রাস্তার দাবি জানানো হয়েছে।
যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী ও বিশ্বজিৎ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, “আমরা বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রেলগেট বন্ধ করার আগে এলাকাবাসীর কথা ভাবা উচিত ছিল।”তাঁরা জানান, “আমরা বিডিওর কাছে অনুরোধ করেছি, উত্তর দিকে রেল ক্রসিংয়ের পরে পশ্চিম দিকে পাওয়ার স্টেশনের পাশ দিয়ে যে ঢালাই রাস্তা রয়েছে, তা খুলে দিতে। সেই রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলের গাড়ি, মোটরসাইকেল ও সাইকেল চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে। পুরোপুরি রেলগেট বন্ধ রাখা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”উন্নয়ন কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে, উড়ালপুলের তলায় রাস্তার কাজ চলতে পারে। কিন্তু পশ্চিম দিক দিয়ে পাওয়ার স্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তা জরুরি পরিষেবার জন্য খুলে দিতে হবে। আজও বিডিওর কাছে এই দাবিতে আবেদন জানানো হয়েছে।”
এই রেলগেট বন্ধের কারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। রেলগেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুল পড়ুয়া, কর্মজীবী মানুষ, এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে বাধা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের অন্য রুটে ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে, যার ফলে মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।যার ফলে বালিচকের মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। বিকল্প ব্যবস্থা না করা হলে এই সমস্যা আরও জটিল হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছ থেকে দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।তবে যাতায়াত বন্ধের নোটিশ জারির পরে শুক্রবার সকাল থেকেই রেল গেটের পার্শ্ববর্তী একদিক দিয়ে প্রাণ হাতে নিয়েই যাতায়াত করছিলেন সাধারণ মানুষজন থেকে স্কুল পড়ুয়ারা , ঘটনার পরেই দুপুর নাগাদ ডেবরা পুলিশ ওই এলাকা পরিদর্শন করে পুরোপুরিভাবে ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। কিভাবে যাতায়াত করবেন নিত্যযাত্রীরা? কবে করে দেবেন প্রশাসন? প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী।
এ প্রসঙ্গে ডেবরার বিডিও আধিকারিক প্রিয়ব্রত রাড়ি জানান,আমরা দ্রুত সমস্যার সমাধানের জন্য বিকল্প যাতায়াতের রাস্তা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছি, আশা রাখি খুব শীঘ্রই মানুষের দুর্ভোগ কমবে। এ বিষয়ে ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি প্রদীপ কর জানান, এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। যাতে ব্রিজের কাজ চালু রেখে একই সাথে একটি বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত মাধ্যম স্বাভাবিক করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হবে। “