এখনই শেয়ার করুন।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস!বাড়ি থেকে হাসিমুখেই স্কুলে বেরিয়ে কিছু সময়ের ব্যবধানে বাড়ি ফিরল ছাত্রীর নিথর দেহ।মর্মান্তিক ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নয়াগ্ৰাম উচ্চ বিদ্যালয় এর ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী,সে প্রতিদিনের মতো সকালে স্কুলে উপস্থিত হয় সুস্থ শরীরেই।স্কুলে এসে সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করতে থাকে বছর ১২ এর ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী পাপিয়া দে। কিন্তু কয়েক মিনিট এর মধ্যেই যে এমন ঘটনা ঘটবে,তা কে আগে থেকে জানতো?

উল্লেখ্য প্রার্থনা শুরুর একটু আগেই সে অসুস্থ বোধ করে। উপস্থিত সহপাঠীদের জানায় তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বেঞ্চ এ বসে পড়ে ওই ছাত্রী। সহপাঠীরা শিক্ষক দের খবর দিলে সঙ্গে সঙ্গে তারা স্থানীয় এক ডাক্তার এর কাছে তাকে নিয়ে যান, তিনি মেদিনীপুর এ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

তারপর তাকে সেন্ট জোসেফ নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরেই সব শেষ।হাসিমুখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে এসে কিছু সময়ের ব্যবধানে বাড়ি ফিরল নিথর দেহ।এমন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা স্কুল চত্বর।

জানা গিয়েছে, পাপিয়ার বাবা পেশায় দিনমজুর।বড় দিদি কলেজ এ ও মেজো দিদি ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও পাপিয়া পরিবারের ছোট মেয়ে। দিদিদের মতোই শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের মেয়ে ছিল পাপিয়া। এই তীব্র গরমের ফলেই এমন হয়েছে বলে অনুমান চিকিৎসকের। ছোট্ট পাপিয়ার মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *