শুক্রবার খড়গপুরে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে মন্দিরে পুজো দেন , এরপর সোজা খড়গপুর রেল স্টেশন রওনা দিলেন ঘাটাল লোকসভার বিজেপির মনোনীত প্রার্থী ডঃ হিরণময় চট্টোপাধ্যায়। এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে রেলে চড়েই জেলা শাসকের অফিসের উদ্দেশ্যে তিনি রওনা দিলেন সাথে ছিলেন জেলা সভাপতি তন্ময়দার সহ দলীয় একাধিক কার্যকর্তাগনেরা।এদিন সকাল ৯টা ২০ নাগাদ খড়গপুর স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্ম থেকে হাওড়া-মেদিনীপুর লোকাল ট্রেনে উঠে নিত্য সাধারণ যাত্রীদের সাথেই বার্তালাপ করতে করতেই মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছান।
লোকাল ট্রেনে চড়ে নমিনেশন দেওয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ বলেন, “খড়গপুরে আমার বাড়ি, গত তিন বছর আমি এখানেই থাকি। আজ যাচ্ছি জেলা অফিসে নমিনেশন জমা দেওয়ার জন্য। এই প্রথম আমি লোকাল ট্রেনে উঠিনি, বিধায়ক থাকাকালীনই বহুবার বিধানসভাতে আমি লোকাল ট্রেন করে কলকাতায় গেছি। সেজন্য আজ নতুন করে যে ট্রেনে যাচ্ছি এরম কিছু না! আজকে আমার সাথে অনেক কার্যকর্তারা ছিলেন, সবাই কে নিয়ে গাড়ি করে যাওয়া সম্ভব না, আমার তো একটাই গাড়ি, এতো জনের জায়গা হতো না। আমার দলের সহকর্মী ভাই-বোনেরা গত তিন বছর আমার সাথে থেকেছেন, সেই জন্য তাদের সকলকে নিয়েই জেলা অফিসের উদ্দেশ্যে এই ট্রেন যাত্রা।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আপনি যখন সাধারণ মানুষের হয়ে রিপ্রেজেন্ট করবেন তাদের আপনি জনপ্রতিনিধি।আর আপনি মারসেডিজ বেঞ্চে উঠে টাটা বাই বাই করতে যদি চলে যাবেন,কলকাতার পেন্টহাউসে গিয়ে থাকবেন। তাহলে আপনি সাধারণ মানুষের কথা দিল্লিতে গিয়ে কোথায় বলবেন? অবশ্য আমাদের যিনি প্রার্থী আছেন,তিনি দিল্লিতে মাত্র ১১ পার্সেন্ট গেছেন। আমি খড়গপুরে টোটো তে করে অটোতে করে ঘুরে বেরিয়েছি। এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়! আমাদের সকল ভাই-বোনদের একসাথে নিয়ে জেলা অফিসে যাবো নমিনেশন করতে।” এদিন ফের চাঁচাছোলা ভাবে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেব কে খোঁচা দিলেন হিরণ।
এরপর মেদিনীপুর স্টেশনে নেমে টোটোই চড়ে মেদিনীপুর শহরের কেরানীতলা পৌঁছান, সেখান থেকে সুসজ্জিত র্যালি করে জেলা শাসকের অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ঘাটাল লোকসভার বিজেপির তারকা প্রার্থী হীরন চট্টোপাধ্যায়।