৫০০শত বছরের অপেক্ষার শেষে রামলালা ঘরে ফিরেছেন। অযোধ্যায় তৈরি হয়েছে রাম মন্দির ,আর আজ প্রথম রামনবমী উদযাপন উপলক্ষে দেশ জুড়ে প্রবল উন্মাদনা! রামনবমী উপলক্ষে আজ গোটা দেশজুড়ে রাম ভক্তরা আনন্দে মেতেছেন। ঠিক তেমনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা বজরং দলের তরফ থেকে পালন করা হল রামনবমী। রামনবমী উৎসবের কয়েক হাজার ভক্ত শামিল হয়েছিলেন ডেবরার বাড়াগগড় গ্রামের সন্নিকটে হনুমান মন্দিরে।
গোটা জেলা জুড়েই ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে আজকের এই বিশেষ উৎসব। পাশাপাশি বালিচক হরিহরপুরে অবস্থিত এই হনুমান মন্দির বেশ কয়েক বছর আগে নির্মিত হয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর ভক্ত এখানে আসেন পুজো দিতে তবে আজকের দিন ব্যতিক্রম ! এই দুই মন্দিরে রীতিমত মানুষের ঢল যেন নেমেছে। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এদিন পূজো শেষে এক বিরাট শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়।এদিন বিকেল নাগাদ ডেবরা বজরং দলের রামনবমীর সুসজ্জিত শোভা যাত্রায় উপস্থিত হন ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও জেলা সভাপতি তন্ময় দাস, ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাট সহ একাধিক জেলা নেতৃত্বরা উপস্থিত হয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে।
এরপর ডেবরাআর রাধামোহনপুর এলাকায় রাম নবমীর সুসজ্জিত রেলি করে গোটা এলাকা পরিক্রমা করে। ভগবান শ্রী রামের জয়ধ্বনি দেন তারা একইসঙ্গে মন্ত্র উচ্চারণ করে বজরংবলীর পুজো দেওয়া হয়।
এদিন ভগবান শ্রীরাম এবং রাম ভক্ত হনুমানের নামে প্রদীপ জ্বালান ভক্তরা। পুরুষ থেকে মহিলা ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতন। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহকারে শ্রীরাম লক্ষণ সীতা দেবী এবং হনুমানের আরাধনা করা হয়। সারাদিনব্যাপী চলছে রামায়ণ গান। পাঠ করা হচ্ছে রামচরিত মানস, হনুমান চালিশা। দুই মন্দির তৎসংলগ্ন এলাকায় বহু ভক্তরা উপস্থিত হয়েছেন। পুজোর পরে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। যেন এক টুকরো অযোধ্যায় রূপান্তরিত হয়েছে ডেবরা।