এবার শেষ পর্যন্ত ঘাটাল লোকসভায় শেষ হাসি টা হাসলেন দু দুবারের জয়ী সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। এবারে তৃতীয় বারের জন্য ঘাটালের মনসদে বসতে চলেছেন তিনি।ঘাটাল লোকসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত লক্ষাধিক ভোটে এগিয়ে হাসি চওড়া করে একপ্রকার জয় নিশ্চিত হতেই ঘাটালে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সাথে সবুজ আবিরে মাতেন তৃণমূলের তৃতীয় বারের বিজয়ী সাংসদ দেব।
তথ্য বলছে ,ঘাটাল লোকসভায় এবার ২০২৪ ভোট পড়েছিল ৮২.১৭ শতাংশ। ১৯,৩৯,৯৪৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১৫,৯৩,৯৯০ জন। এই জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে কেশপুর বিধানসভায় তৃণমূলের লিড, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে গণতন্ত্র লুঠ হয়েছে,কেশপুরে ভোট লুট হয়েছে এমন প্রশ্ন তুলে সরব হলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ।ভোট গণনা কেন্দ্র ঘাটাল কলেজ থেকে বেরিয়ে অভিযোগ করেন।তিনি বলেন কেশপুরে ভোট লুট হয়েছে এবং তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের এর উপর দোষারোপ করেন হিরণ। তথ্য দিয়ে তিনি জানান কেশপুরের একাধিক বুথে বিজেপি শূন্য ভোট পেয়েছে এ থেকেই বোঝা যায় কিভাবে ভোট লুট হয়েছে কেশপুরে। ২৪ এর লোকসভায় পরাজয় ও জনতার রায় এক প্রকার স্বীকার করে মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ কাউন্টিং হল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরন আরও বলেন, ভোটে এক জন জয়ী হবে, একজন পরাজিত হবে। আমি পরাজিত হলেও ঘাটাল ছেড়ে চলে যাবো না। মানুষের প্রয়োজনে ঘাটালবাসী আমায় পাবেন। ঘাটালে উন্নয়নের জন্য সবসময় ঘাটালের পাশে থাকবেন বলেও জানান তিনি। পাশাপশি তিনি ঘাটালবাসীর উদ্দেশ্য প্রশ্ন তুলে দিয়ে বলেন, এবারে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তার বাস্তবায়ন আদেও কি পূরণ হবে ঘাটালবাসীর ? প্রতিশ্রুতি যেনো মনে করিয়ে তার পূর্ণতার রুপ পায় তার একপ্রকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
অন্য দিকে একপ্রকার নিশ্চিত জয় এর পরেই ঘাটালে পৌঁছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সাথে সবুজ আবিরে মাতেন তৃণমূলের তৃতীয় বারের বিজয়ী সাংসদ দেব। এরপর হিরণ কে একহাত নিয়ে দেব সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “আমি বারবারই বলেছিলাম ব্যক্তিগত কুৎসা ও অপপ্রচার করলে ঘাটলের মানুষ কখনওই মেনে নেবে না। আজ তারই প্রতিফলন, ভোট বাক্সে জবাব দিয়েছেন মানুষ। এ জয় মানুষের জয়। তৃণমূল সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জয়। ঘাটালের মানুষ বরাবর কুৎসা না সত্যের ওপর বিশ্বাসী আজ তা আরও একবার প্রমাণ দিয়ে দিয়েছেন ঘাটালবাসী।