পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বালিচকে মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা মত শুরু হয়েছে উড়ালপুলের কাজ। ৭৩০ দিনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। আজও সম্পন্ন হলো না নির্মীয়মান কাজ। নির্মাণ কার্যের এক তৃতীয়াংশ কাজ এগিয়ে গেলেও রেলগেট শিফটিং, কেবল্ শিফটিং এবং ওভারহেড তার সরানোর বিষয়কে নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানায় কাজ বন্ধ থাকে।বারংবার কাজ শুরু ও বন্ধ হওয়ায় জনসাধারণের দুর্ভোগ বেড়েছে। এদিকে রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে। প্রাক বর্ষায় ফ্লাইওভারের দুদিকের জরাজীর্ণ রাস্তা বিরাট বিরাট খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।
যদিও বাস সহ বড় যানবাহন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।প্রায়শই টোটো সহ ছোটোখাটো যানবাহন সার্ভিস রোডে যাতায়াতের সময় উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে।একদিকে রেললাইনের উপর ছোট গেট দিয়ে যানবাহন চলাচল।তার ওপর ছোট বড় গর্ত পেরিয়ে ঘন্টার উপর সময় লেগে নাকাল হচ্ছেন পথচারীরা।অবিলম্বে জরাজীর্ণ সার্ভিস রোড মেরামত করার দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
অন্য দিকে, বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে সার্ভিস রোড নির্মাণ না করলে পুনরায় রাস্তায় নামবে কমিটি।কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, প্রায় ৬,৭ টা থানার হাজার হাজার মানুষ এক প্রকার জীবন হাতে করে নিয়ে যাতায়াত করছেন, আমরা বারংবার প্রশাসনের কাছে দরবার করেছি।দীর্ঘদিন ধরে চলমান সমস্যার সমাধানে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি।এলাকাবাসীর দুর্ভোগের প্রতি তাদের উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে।অবিলম্বে নির্মীয়মান উড়ালপুলের দুদিকে সার্ভিস রোড যাতায়াতের উপযোগী করতে হবে, নাহলে রাস্তায় নেমে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় করতে হবে।”
এ প্রসঙ্গে ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি প্রদীপ কর বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে নির্মীয়মান ফ্লাইওভারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এছাড়াও জেলাশাসক কেও জানানো হয়েছে, আশা করি খুব দ্রুততার সহিত কাজ শুরু হবে।”সার্ভিস রোড দ্রুত মেরামতের জোরালো দাবি জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরাও।