এখনই শেয়ার করুন।

Special identity cards have been introduced for children belonging to the disabled category, the official himself is working on making cards by reaching schools.

শুভ চক্রবর্তী:-দুয়ারে সরকার,দুয়ারে ডাক্তারের পর এবার সেই ছোঁয়া লাগল শিক্ষাঙ্গনেও অফিসের কাজের চাপ সামলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে স্কুলের দুয়ারে হাজির হয়ে গেলেন খোদ আধিকারিকরা। শুধু হাজির হওয়া নয় হাত লাগালেন কাগজপত্র সংক্রান্ত কাজেও কোথাও কচিকাঁচাদের সাথে পাতপেড়ে খেলেন মিড ডে মিলের খাবার।আর আধিকারিকদের এমন ভাবে পাশে পেয়ে নিদারুণ খুশি স্কুলের শিক্ষকরাও।


বুধবার এমনই চিত্র দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে।রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ইউনিক ডিসআ্যবিলিটি আইডি বা অনন্য প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র প্রস্তুতির কাজ।সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয় এবং সমগ্র শিক্ষা মিশন সম্প্রতি একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে যার মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দীব্যাঙ্গ শ্রেণীভুক্ত শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই কারণে তাদের জন্য একটি স্বতন্ত্র পরিচয় পত্র তৈরীর হবে। এই কার্ড থাকলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা উপভোগ করবে এবং দেশজুড়ে এটি তাদের অন্যতম পরিচয়পত্র হিসাবে মান্যতা দেওয়া হবে ।


সমগ্র শিক্ষা মিশন পশ্চিম মেদিনীপুরের নির্দেশে এবং ঘাটাল ওয়েস্ট সার্কেলের উদ্যোগে বিশেষ নজরদারির মাধ্যমে দ্রুত গতিতে চলছে ১৫০টির ও বেশি ইউডি আই ডি কার্ড তৈরির কাজ।
চক্রের অধীন স্কুলগুলিতে এই কার্ড তৈরির সমস্ত রকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কেমন ভাবে চলছে সেই কাজ তা সরোজমিনে খতিয়ে দেখতে বুধবার দিনভর এলাকার স্কুলগুলিতে ছুটে বেড়ালেন ঘাটাল পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুদীপ সাহা এবং ঘাটাল ওয়েস্ট সার্কেলের স্পেশাল এডুকেটর দেবাশীষ কাজলী। বেশ কয়েকটি স্কুলে পৌঁছে গিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নিজে হাতেই ছাত্র ছাত্রীদের ইউ ডি আইডি কার্ডের অনলাইন আবেদন পত্র দাখিল করলেন।


শিক্ষা দপ্তরের একজন আধিকারিককে এমনভাবে পাশে পেয়ে রীতিমতো খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোমেশ চক্রবর্তী বলেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মিড ডে মিল সংক্রান্ত পরিদর্শনে এসে ছাত্রছাত্রীদের সাথে মিড ডে মিল ভাগ করে খেলেন । ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি আমরাও খুব খুশি। শুধু তাই নয় তিনি খতিয়ে দেখলেন স্কুলের বিভিন্ন বিষয়।তাকে স্কুলে পেয়ে বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা আমরা তার কাছে তুলে ধরেছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যত দ্রুত সেগুলি সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হবেন।
ঘাটাল ওয়েস্ট সার্কেলের অপর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুদীপ সাহা বলেন চক্রের অধীন ৫০ টি স্কুল যেখানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা পঠন-পাঠন করে সেই সমস্ত স্কুলের ছুটির ও বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ইউ ডি আই ডি অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে এই কাজে কোথাও সমস্যা হচ্ছে কিনা এবং কত দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করা যায় সেই ব্যাপারে খতিয়ে দেখতে স্কুগুলিতে হাজির হয়েছিলাম। এর পাশাপাশি জেলা শাসকের নির্দেশ মেনে বেশ কয়েকটি স্কুলের মিড ডে মিল সংক্রান্ত পরিদর্শনও করা হয়েছে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *