CPI(M) leader Sushant Ghosh has been sacked from all posts for se**al harassment.
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিএম জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে এক নারী যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছরের পর বছর ধরে তাকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পীড়িতার দাবি, তিনি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ছবি এবং ভিডিওর মতো প্রমাণ দলের রাজ্য সম্পাদকের কাছে জমা দিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্ত ঘোষকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সুশান্ত ঘোষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং ঘটনাকে তিনি চরিত্রহানির চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন।পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিএম জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে এক নারী যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। পীড়িতার দাবি, বছরের পর বছর তাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন হয়রানি করা হয়েছে।
তিনি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ছবি এবং ভিডিওর মতো প্রমাণ দলের রাজ্য সম্পাদকের কাছে জমা দিয়েছেন।দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুশান্ত ঘোষকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ঘোষ এই অভিযোগ সোচ্চারভাবে অস্বীকার করেছেন এবং একে চরিত্রহানির চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “পরিকল্পিতভাবে চরিত্রহনন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা বলার তা দলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”সুশান্ত ঘোষ এক সময় বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন এবং অঞ্চলে তার প্রভাব ছিল। ২০১১ সালে পালাবদলের পর তিনি কঙ্কালকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জেল খেটেছেন। তিন বছর আগে জেলায় ফিরে আসার পর তিনি জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হন।পীড়িতা দাবি করেন, ২০০৬ সাল থেকে সুশান্ত ঘোষ তাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন হয়রানি করছেন।
তিনি বলেন, “চাকরির অনুরোধ নিয়ে প্রথমে বাবার সঙ্গে তৎকালীন মন্ত্রীর বাড়িতে যাই। অনুরোধে সাড়া দিয়ে তিনি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। পরে একদিন আবার চন্দ্রকোনা রোডে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান। সেদিন নিজের বাড়িতেই জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। চুপচাপ থাকার পরামর্শ দেন। মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।”দলীয় সূত্রে খবর, এই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি পীড়িতা এবং সুশান্ত ঘোষ উভয়ের সঙ্গে কথাও বলেন।শেষমেষ শুক্রবার মেদিনীপুর শহরের মীরবাজারে জেলা কার্যালয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, রথীন দেব সহ বামেদের প্রথম সারির নেতৃত্ব। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে জেলার নতুন সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে দীর্ঘদিনের মুখ বিজয় পাল এর নাম ঘোষণা করে।
পাশাপশি জেলা সম্পাদক সহ সমস্ত দায়িত্ব থেকে দলীয় ভাবে ছেঁটে ফেলা হয় মেদিনীপুরের ডাকবুকো বাম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে।বাম দুর্গে দলের ভাবমূর্তি যাতে কোনও ভাবেই ক্ষুন্ন না হয়,নারীঘটিত ঘটনার জেরেই সুশান্ত কে সমস্ত পদ থেকে ছেঁটে ফেলা হলো, কার্যত এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। এ অব্যাহতি প্রসঙ্গে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরোনোর সময় কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সুশান্তর থেকে।তবে নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক বিজয় পাল জানিয়েছেন, “আমি এ ব্যাপারে বিশেষ কিছু বলবো না,উনি দলের কাছে অব্যাহতি চেয়েছিলেন,দলের সর্ব নেতৃত্ব তাতে সায় দিয়েছেন।”