চলতি সপ্তাহেই জেলার সমস্ত জায়গার এই বছরের পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করে একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা পুলিশ সুপারের
শুভ চক্রবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর:- সামনেই শারদীয়া উৎসব আর এই পুজোর ক’দিন নাগরিক পরিষেবার ব্যাপারে সতর্ক পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন।ভীড় এড়াতে গ্রিন করিডর বা গ্রিন চ্যানেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে মুমুর্ষু রোগীদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে 112 কিংবা জেলা পুলিশের হেল্পলাইন অথবা জেলা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগে থেকেই বিষয়টি জানালেই পুলিশ প্রশাসনের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।চলতি সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার ‘দুর্গাপূজা গাইড ম্যাপ ২০২৪’ প্রকাশের পর এই ধরনের একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করলেন।
তিনি জানান চতুর্থী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত জেলা জুড়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিচ্ছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।বিকেল ৩টা থেকে রাত্রি ৪টা অবধি বাস, ট্রাক, টোটো, অটো, চারচাকার মতো ভারী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে জেলা শহর মেদিনীপুর সহ ঘাটাল ও খড়গপুরের মতো মহকুমা শহর এলাকাতেও। সেক্ষেত্রে পুজোর এই ৮ দিন শহরের রাস্তায় বিকেল ৩টা থেকে ভোর ৩টা অবধি টোটো, অটো কিংবা প্রাইভেট কারও চলাচল করবে না।বাকি ১২ ঘন্টা অবশ্য চলাচল করতে পারবে। অপরদিকে, শহরে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ পঞ্চমী থেকে দ্বাদশী অবধি ৭দিন। বিকেল ৪টা থেকে রাত্রি ২টো অবধি যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।একইসঙ্গে, পথ নিরাপত্তা সম্পর্কেও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন এসপি। হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো, রাফ বাইকিং বা স্পিড বাইকিং বা বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানো, ট্রিপল বাইকিং বা বাইকে তিন জন সহ বাইক চালালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি সাইলেন্সার না লাগিয়ে উচ্চস্বরে বাইক চালালে ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এমনটাও বার্তা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সোমবার ঘাটালে গাইড ম্যাপ প্রকাশ করতে এসে অ্যাডিশনাল এসপি(খড়গপুর) সন্দীপ সেন বলেন অন্যান্য বছরের মতো এইবছরও শব্দবাজি ব্যবহার বা ব্যবসার ক্ষেত্রে যথারীতি নিষেধাজ্ঞা থাকছে। জেলাবাসীকে গ্রিন ক্র্যাকারস বা সবুজ বাজি বা পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।এর পাশাপাশি ডিজে মাইকের ব্যবহারে যে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নেবে তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন।
জেলাবাসীকে পুজোর শুভেচ্ছা ও জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন পুলিশ প্রশাসনের তরফে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা থাকলেও, সাধারণ মানুষেদেরও সচেতন ও নিরাপদে পুজো কাটানোর ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে তবেই পুজোর আসলআনন্দ সকলে মিলে উপভোগ করা যাবে।