পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর রশ্মি মেটালিক্স কারখানায় সহযোগী সস্তার অধীন উড়িষ্যা মেটালার্জিক্যাল চার নং ইউনিট এ কাজ করার সময় উপর থেকে পড়ে মৃত্যু হয় রাহুল কুমার নামে এক চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকের বাড়ি বিহার এলাকায়।গত মঙ্গলবারও সুমিত দাস নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে তার বাড়ি সাঁকড়াইলের টিকায়েতপুর এলাকায়।বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই উত্তাল হয় এলাকা।কারখানায় কর্মরত অবস্থায় চুক্তি ভিত্তিক অস্থায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবরের পরেই কারখানার ইউনিট চত্বরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত অন্যান্য কর্মীরা।তাঁরা কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই থেকে দায়ী করে।কর্মীদের রোষের মুখে কারখানার ভেতরে থাকা একাধিক গাড়ি ভাঙচুর এবং অফিসেও ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা।
এরপর খবর পেয়ে খড়গপুর গ্ৰামীণ থানা ও সাদাতপুর ফাঁড়ি এবং খড়গপুর টাউন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পোঁছে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করলে উল্টে ভষ্মে ঘি ঢালার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশের ওপর উত্তেজিত কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।একদল কর্মী পুলিশদের লক্ষ করে ইঁট পাটকেল ছুড়তে থাকে।তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাফ নামানো হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরোধ হঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উতপ্ত রয়েছে এলাকা।ফের শুক্রবার সকাল থেকেই কারখানার গেটের বাইরে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিক দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়।অন্যদিকেই শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপিও পথে নামে।
এদিন সকালে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে রাস্তায় বসে বিক্ষোভে শামিল হন মেদিনীপুর লোকসভা বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্র পাল সহ জেলা বিজেপির একাধিক নেতৃত্বরা।বিজপের তরফে দাবি করা হয়েছে মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে, কারখানা দূষিত জিনিস নদীতে গিয়ে ফেলা হচ্ছে,শহর জুড়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জাতীয় সড়কের পাশে কোনভাবে অবৈধ পার্কিং করা যাবে না। কর্মীদের সব রকম সুযোগ সুবিধা ও বীমা দিতে হবে। সহ একাধিক দাবি সম্মিলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষকে।
এদিন কারখানার মূল গেটের সামনে তৃণমূল আই এন টি সি ইউ সংগঠন এবং জাতীয় সড়কের উপর বিজেপির বিক্ষোভ অবস্থান ঘিরে রীতিমতো উত্তেজনা পরিস্থিতি রয়েছে হয় কারখানা চত্বর। এক প্রকার জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ এবং দোলাচল অবস্থা রেশমি মেটালিকস কারখানা সংলগ্ন চত্বর। গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।