এখনই শেয়ার করুন।

Due to the release of water from multiple streams, the worries of Debra residents are increasing! Many families without homes.

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকদিন একটানা বৃষ্টি। এরপর একাধিক জলধারা থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে দুশ্চিন্তা বাড়ছে ডেবরাবাসীর।বুধবার ভোর রাতে কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় ডেবরা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা।ডেবরা ব্লকের ভবানীপুর লোয়াদা, টাবাগেড়িয়া সহ একাধিক এলাকায় হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। একাধিক রুগ্ন কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ে। বহু বাড়ির ছাদ অবধি জল উঠেছে। কোনও কোনও বাড়ি আবার পুরোপুরি ভাবে জলের তলায়। বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন! বুধবার মাঝ রাতে ফের লোয়াদার নন্দবাড়ি এলাকায় এক জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়ে নতুন করে প্লাবিত হয় এলাকাগুলি। পাশাপশি একাধিক জলধার থেকে জল ছাড়ার কারণে ডেভেলপ ব্লকের গোলগ্রাম ,বিক্রমপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় জলস্তর ফের বৃহস্পতিবার বৃদ্ধি পায়। ওই এলাকার বহু মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে তারা স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর হাঁটু জল প্রবল স্রোতে বইছে।এদিকে বন্যার দুশ্চিন্তার মধ্যেও জাল নিয়ে মাছ ধরার ধুম পড়েছে।

রাস্তার ওপর জাল ফেলে মাছ ধরতে নেমেছেন আট থেকে আশি। কোনও কোনও এলাকায় জল এতটাই বেড়েছে , সেখানে বাড়ির ভেতর ও দালানের মধ্যেই জাল ফেলে মাছ ধরছেন এলাকাবাসীরা।বিক্রমপুর হাই স্কুলে প্রায় ২৫ জন বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে তাঁদের থাকা ও খাওয়ার সবরকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্লাবিত এলাকার এক বাসিন্দা বিক্রম সিং বলেন, কাল জল ছাড়ার পরেই তারা ত্রাণ শিবিরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। বিক্রমপুর গোটা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।এখনো বহু জলবন্দি মানুষ তারা বাড়ি ছেড়ে আসেননি।তাঁরা কেউ কেউ বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন।

গোটা এলাকায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে, হলি চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।এদিন ডেবরা ব্লকের প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন খড়গপুর মহকুমা শাসক যোগেশ অশোক রাও পাটিল সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।

আধিকারিক জানিয়েছেন, আমরা ডেবরা ব্লকের লোয়াদা টাবাগেরিয়া সহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছি তার মধ্যে ৭ নং অঞ্চলের মালিঘাটি এলাকায় তুলনামূলক ভাবে একটু বেশি ক্ষতি হয়েছে। এলাকার মানুষদের জন্য ইতিমধ্যেই ৯টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এলাকার প্রায় ২৭০ জন এই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা সর্বত্রভাবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। পানীয় জল ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্স এর সহযোগিতায় একটি স্পিডবোর্ড নামিয়ে দুর্গতদের ত্রাণ পাঠানো এবং প্রয়োজনীয় খবরা-খবর নেওয়ার কাজ লাগাতার ভাবে চলছে। আশা রাখছি দিন দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।”

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *