এখনই শেয়ার করুন।

According to the court’s verdict, the educational center was demolished with bulldozers. Stunned locals.

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: কোর্টের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন ও আধিকারিকদের উপস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের কুসুমদা ১নং অঞ্চলের অধীন বলরামপুর এলাকায় বলরামপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি বৃহস্পতিবার বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হলো। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল ছড়ালো। যদিও স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে কমতে শূন্য তে এসে পৌঁছয়। তবে পুরোপুরি ভাবে স্কুলটি তুলে দেওয়ার ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী।

এ প্রসঙ্গে পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির কুসুমদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাউথ খান বলেন, গত ২০০৪ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এলাকার বাসিন্দা চণ্ডীচরণ পড়্যা স্কুলটি শর্তসাপেক্ষে জায়গা দান করেন, এরপর স্কুলটি চালু হয়। একটি চুক্তি করেছিল মালিকের সাথে যতদিন স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা থাকবেন ততদিন তারা জায়গা দেবেন।সেই হিসেবে ওনার মেয়ে চাকুরী করে আইসিডিএস কর্মী হিসেবে। তারপরে জানা নেই কেন স্কুলটির দলিল করা হয়েছে, কোর্টের অর্ডার এসেছে স্কুলটি ভেঙে দেওয়ার জন্য।” পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে সদস্য,বিডিও আধিকারিক ,পুলিশ আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকগন উপস্থিত আছেন। স্কুলের জিনিসপত্র গুলি পঞ্চায়েত অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেহেতু কোর্ট অর্ডার দিয়েছে,সেই রায় কে মান্যতা দিতে হবে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা কানন বেরা জানিয়েছেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা ! বহু কষ্টে একটু একটু করে স্কুলটিকে গড়ে তোলা হয়েছিল। এলাকায় একটি নার্সারি ও প্রাথমিক স্কুল থাকায় এই স্কুল থেকে ধীরে ধীরে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে।গত জানুয়ারি মাসে স্কুলটি পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। আমরা এলাকাবাসী হিসেবে সব রকম প্রচেষ্টা করেছি।স্কুলটির জায়গা যেহেতু শর্ত সাপেক্ষে দান করা হয়েছিল, তাই বন্ধ হয়ে যেতেই জায়গার মালিক কোর্টের দ্বারস্থ হন।”

আক্ষেপের সুরে তিনি আরও বলেন , “বর্তমানে পিংলা ব্লকে মোট ৪৮ টা এস এস কে আছে, কোন স্কুলে এমন শর্তসাপেক্ষে জায়গা দেওয়া নেই। কয়েকটা স্কুল ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে আছে, কিন্তু সেগুলো ভাঙ্গা হয়নি।আজ এই স্কুলটি ভেঙে দেওয়াতেই আমরা অত্যন্ত ব্যথিত।”

বৃহস্পতিবার এই স্কুল ভাঙাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে কোর্টের আদেশ মোতাবেক মালিক কে তার জায়গা খালি করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *