এখনই শেয়ার করুন।

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা :রবীন্দ্রসদন রানুছায়া মঞ্চে অখিলভারত হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল উস্তাদ জাকির হোসেনের স্মরণসভা। তালীম মিউজিক অ্যাকাডেমি, সিলেস্টিয়াল ইনসাইটস হিলিং এবং হিন্দুমহাসভার সাংস্কৃতিক বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী, চিকিৎসক এবং হিন্দুমহাসভার প্রতিনিধিরা।সভায় ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী উস্তাদ জাকির হোসেনকে স্মরণ করে বলেন, “জন্মগত প্রতিভা এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া জাকিরজীর মতো শিল্পী সৃষ্টি হয় না।

তাঁর প্রয়াণ ভারতীয় সঙ্গীত জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি।” তিনি আরও জানান, সঙ্গীতের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার সম্ভাবনা উদ্ভাবনে তালীম মিউজিক অ্যাকাডেমি এবং সিলেস্টিয়াল ইনসাইটস হিলিং একযোগে কাজ করবে।ডক্টর চৈতিশা পদ্মলোচনা চন্দ্রা বলেন, “শব্দবিজ্ঞান এবং সঙ্গীতের নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে রোগমুক্তির এক নতুন পদ্ধতি আনার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য সাউন্ড অ্যান্ড মিউজিক থেরাপি পরিষেবা প্রদান করা হবে।”স্মরণসভায় বাংলাদেশি শিল্পীদের ভারতের মাটিতে বয়কটের দাবিও উঠে আসে।

ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, “শিল্পের মধ্যে জাতি-ধর্মের বিভাজন থাকা উচিত নয়। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের হিন্দু ও মডারেট মুসলমানদের উপর অত্যাচার এবং ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো জরুরি। যতদিন না বাংলাদেশ সরকার ক্ষমা চেয়ে প্রায়শ্চিত্ত করছে, ততদিন বাংলাদেশি শিল্পীদের ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ রাখা উচিত।”তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশের পাপ লঘু করে দেখা ভারতের পতাকা ও বীর জওয়ানদের আত্মবলিদানকে অপমান করা হবে। তাছাড়া জঙ্গিরা বাংলাদেশের পরিচয়ে ভিড়ের মধ্যে থেকে সন্ত্রাস ছড়াতে পারে। শীতকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আগে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারত সরকারকে সতর্ক করা হবে।”অনুষ্ঠানের শেষে ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর লেখা এবং সুরারোপিত গান “দেশটা তোমার বাপের নাকি” শ্রোতাদের মধ্যে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ওঠে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *