Two lawyers Sayan-Kalyan fierce fight inside the High Court. Everyone laughed.
সংবাদ জনকণ্ঠ ডেস্ক: বিষয়বস্তু আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ, আর তার মাঝেই লড়াই ব্যক্তিগত হয়ে গেল সায়ন-কল্যাণের! সাধারণত আদালত কক্ষের ভিতরে শোনা যায় এই বাকবিতণ্ডা। তবে এবার তা দেখা গেল আদালতের বাইরে।কিন্তু হঠাৎ করে এমন ঘটলো কি? এই বিষয় জানতে গেলে আগে জানতে হবে, আজ হাইকোর্টের বাইরে বেরিয়ে কেন এসেছিলেন আইনজীবীরা? আসলে আজ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা।
দোষীদের শাস্তির দাবিতেই পথে নামেন কালো কোটের উর্দিধারীরা। সেই কর্মসূচীতেই এদিন মুখোমুখি হয়ে যান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার তৃণমূলের সাংসদও বটেন। অন্যদিকে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি সিপিএমের তরুণ মুখ। একেবারে কোমর বেঁধে ঝগড়া শুরু করেন দু’জনে। কল্যাণও ছাড়ার পাত্র নন, সায়নও পাল্লা দিয়ে ঝগড়া করে চলেন। হাইকোর্ট চত্বরে এমন ঘটনায় হতবাক বিচারপ্রার্থীরাই।আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে দলমত নির্বিশেষে সোমবার একটি মিছিল করেন আইনজীবীরা। অভিযোগ, পরবর্তী সময়ে প্রতিবাদের সঙ্গে রাজনীতির রংও লাগতে শুরু করে। সায়নের অভিযোগ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি বলেন ভোটে তাদের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এরপরই পাল্টা বিতণ্ডায় জড়ান সায়নও।
যদিও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, তিনি এক বর্ষীয়াণ আইনজীবী। তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে। একটা শান্তিপূর্ণ মিছিলে কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও আইনজীবীরা বলেন, কোনও ভেদাভেদ নয়, আরজি করের ঘটনার বিচারের দাবিতে সকলে একসঙ্গে পথে নেমেছেন এদিন।আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে তোলপাড় রাজ্য। ডাক্তার থেকে আইনজীবী, শিল্পী থেকে বুদ্ধিজীবী, পথে নেমেছেন সকলে। গলার শিরা ফুলিয়ে প্রতিবাদে সামিল আমজনতা। সকলেরই একটাই দাবি, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। অপরাধীর কঠোরতম শাস্তি চাই। সোমবার হাইকোর্টের আইনজীবীরাও সেই দাবিতে পা মেলান।