Hula Party’s tyranny ended in Gajraj, the Kurmi community on the way to seek justice!
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে বনমন্ত্রী ও ডিএফও-র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ এর দাবিতে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ এর পক্ষ থেকে রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরে মিছিল এর আয়োজন করা হয়। ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো সহ অন্যান্য নেতারা। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম শহরে হাতির হামলায় অনুপ মল্লিক নামে এক জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম ব্লকের পশরো এলাকায় চাঁদু খিলাড়ি নামে আরো একজন হাতির হামলায় মারা যান। হাতির হামলায় যেমন প্রাণ হানির ঘটনা ঘটছে, তেমনি হাতির দল তান্ডব চালিয়ে ঘর বাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি করছে। তাই হাতিকে সরানোর জন্য ঝাড়গ্রাম শহরে গত বৃহস্পতিবার জলন্ত লোহার রড অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলা হাতির পেটে হুলা পাটির সদস্যরা ঢুকিয়ে দেয়। যার ফলে মহিলা হাতিটি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারছিল না। আর শুক্রবার প্রবল যন্ত্রণা নিয়েই ওই মহিলা হাতিটি প্রাণ ত্যাগ করে।
তাই ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের বনমন্ত্রী ও ডিএফও-র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ এবং গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নেমে রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখায় কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ নামে একটি সংগঠন। ওই সংগঠন এর পক্ষ থেকে রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। ওই বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনের কয়েক হাজার কর্মী ও সমর্থক সামিল হয়েছিলেন।
ওই বিক্ষোভ মিছিল কে কেন্দ্র করে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল এদিন। তবে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ সংগঠনের প্রতিবাদ মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে, কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যেকের একটাই দাবী, যারা যারা এই নিকৃষ্টতম ঘটনার সাথে জড়িয়ে তাঁদেরকে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।