বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় জয়ের পর তারাপীঠ মন্দিরে গিয়ে মায়ের পুজো দিলেন শতাব্দী। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের জানালেন দিল্লিতে যাচ্ছেন তিনি। ঘুরতে নয় তিহার জেলে যাবেন শতাব্দি। তিহার জেলে বন্দী রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রতিবার দলের জয়ে অন্যতম কান্ডারি ছিলেন অনুব্রত। এবারে বীরভূমের মাটিতে অনুব্রত দাপট না থাকলেও তার ছায়া সর্বদা ছিল দলের সঙ্গে। তাই তার প্রতি আনুগত্য দেখাতে এবং তার অবদানের প্রতিদান দিতে কেষ্ঠর সঙ্গে দেখা করতে তিহার যাবেন শতাব্দি।
বীরভূমে কেষ্ট নেই তাই দলে অভিভাবক নেই। সাংসদ বিধায়ক হয়ে নয়। স্রেফ জেলা সভাপতি হয়ে বীরভূমকে সাজিয়ে তুলেছিলেন অনুব্রত। অনুব্রত হীন বীরভূমের শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে তার স্বীকার করে নিয়েছেন বিরোধীরা। তাই তার কথা স্মরণ করে শতাব্দী বলেন, ভোট পূর্ববর্তী কিংবা পরবর্তী কোনো রকম অসুবিধা হয়নি। তবে উনি না থাকার অভাব বোধ করেছি।
যদিও বীরভূমে কানাঘুষ শোনা যেত শতাব্দীর সঙ্গে অনুব্রতর সম্পর্ক মোটেই ভালো ছিল না। বেশ কয়েকবার সমাজ মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছিলেন শতাব্দি।তিনিএমনকি তিনি দলের সাথেও দূরত্ব বাড়াতে চেয়েছিলেন। আর এখন সবকিছু ভুলে এখন অসহায় অনুব্রতর সাথে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন শতাব্দী।