সংবাদ জনকণ্ঠ ডেস্ক : সমাজ মাধ্যমে খোলা চিঠি লিখে সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এবং ছোট বড় নির্বিশেষে এন.জি.ও. , ট্রাস্টি, সোসাইটি, ফাউন্ডেশন, ক্লাব, রাজনৈতিকদল, আইনজীবীদের সংগঠন, সাংবাদিকদের সংগঠনসহ সমস্ত সামাজিক সংগঠনকে নিজেদের কোপিটিশনার এবং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হওয়ার প্রস্তাব দিল “ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ” । মঞ্চের কনভেনর ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য আমরা সকলেই চাই দেশে একটি ত্রুটিহীন বিচার ব্যবস্থা এবং অপরাধহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হোক তাই কোন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে ব্রাত্য নয় । অধ্যয়ন এবং তথ্যপ্রমাণ বলছে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় অপরাধী ছিলেন না ।
হেঁতাল পারেখের খুনী আসল অপরাধীকে আড়াল করতেই ধনঞ্জয়ের মত একজন গরীব পুরোহিত ঘরের নিরপরাধ সন্তানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । ফলে ধনঞ্জয়ের আত্মার সাথে হেঁতাল পারেখের আত্মাও আজ অবধি জাস্টিস পায়নি । বিচারের বাণী আজও নীরবে নিভৃতে কাঁদছে । শুধু তাই নয় ধনঞ্জয় অপরাধী না হলে তাকে ফাঁসি দিয়ে নাটা মল্লিকও পাপের ভাগী হয়েছেন । কিন্তু এখানে তাঁর কোন দোষ নেই কারণ সিস্টেম তাঁকে দিয়ে এই অপরাধ করিয়েছে । সেই জন্য সত্য প্রতিষ্ঠার আশায় নাটা মল্লিকের পরিবারও আজ আমাদের মঞ্চে সামিল হয়েছেন ।
আমরা ইতিমধ্যেই ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি, মাননীয়া রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুজি ও সুপ্রিম কোর্টের সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড়জিদের ডেপুটেশন পাঠিয়েছি এবং ওনারা প্রাপ্তিস্বীকার করেছেন । আবার আমরা নিজের হাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মাননীয় আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও মাননীয় কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে ডেপুটেশন দিয়েছি । আবার সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা নারীনিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ফ্রীতে মহিলাদের এবং বয়স্ক মানুষদের অত্যন্ত বিশিষ্ট ক্যারাটে প্রশিক্ষকদের দিয়ে নিঃশুল্ক সেলফ ডিফেন্স প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি । কিন্ত এই মুহূর্তে আমরা যেহেতু কুড়ি বছর আগে ফাঁসি হয়ে যাওয়া একজন সম্ভাব্য নিরপরাধ ব্যক্তির বিরলতম কেস নিয়ে এগোচ্ছি এবং এই কেসের প্রায় সমস্ত আইনী কাগজপত্র আমাদের হাতে রয়েছে তাই আমরা চাই এই কেস পুনর্বিচার আন্দোলনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কোপিটিশনার এবং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে আমাদের লড়ায়ে শরিক হোক । কারণ দিনের শেষে আমাদের সবার একটি ত্রুটিহীন বিচার ব্যবস্থা স্থাপনে ব্রতী হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আর কাউকে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় না হতে হয় ।