Police-BJP in Debra! Arrested with the district president of BJP more than one!
নিজস্ব প্রতিনিধি,পশ্চিম মেদিনীপুর: আর জি কর কাণ্ডে অভয়ার দ্রুত বিচার চেয়ে রাস্তায় নামেন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। মঙ্গলবার কলেজস্ট্রিট থেকে সাঁতরাগাছি হয়ে মিছিল জমায়েত হয় নবান্নের সামনে। সেখানে দাবি ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের। এদিকে নবান্নের এই অভিযানে পুলিশ ও ছাত্র সমাজের ধুন্ধুমার বাঁধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোরা হয় ইট পাটকেল অন্যদিকে পুলিশ ছোড়ে কাদানে গ্যাস। আন্দোলনরত কয়েকশো ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে নবান্ন অভিযানে পুলিশি বর্বরতার প্রতিবাদে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির তরফ থেকে বুধবার ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকা হয়। যার খানিকটা প্রভাব পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে। বনধের দিন সক্রিয় হয়ে ওঠে বিজেপি কর্মীরা।
বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা এলাকায় ১৬ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। এদিকে আগে থেকেই গণ্ডগোলের আঁচ পেয়ে পুলিশ সজাগ ছিল, ঘটনাস্থলে ডেবরা থানার পুলিশ বাহিনী জাতীয় সড়কে বসে থাকা অবরোধকারীদের হটাতে চেষ্টা করেন, দীর্ঘক্ষণ পুলিশ এবং অবরোধকারীদের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়।
অন্য দিকে ডেবরার আষাড়ি ও রাধামোহনপুর স্টেশন এলাকায় ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতির নেতৃত্বে রাস্তা এবং রেল অবরোধ শুরু করে বিজেপি শিবির। পুলিশ বার বার অবরোধ হটাতে সচেষ্ট হলে বিজেপি কর্মী ও নেতৃত্বদের সাথে শুরু হয় বাদানুবাদ। ঘটনা চরম পর্যায়ে পৌঁছালে উপস্থিত হয় খড়গপুর এসডিপিও সহ পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকেরা। এই অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে ঘাটাল জেলা সভাপতির সাথে পুলিশের বচসা বাঁধে। ঘটনাস্থানের র্যাফ নামানো হয়। তারপরেই ঘাটাল সংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস সহ যুব সংগঠনের নেতা রামানন্দ বসু সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাদের পিজন ভ্যানে তোলা হয়। আটক সকলকে মেদিনীপুর কোতয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঘাটাল জেলা সভাপতি তন্ময় দাস একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তিলোত্তমার খুনের বিচার ও ছাত্র সমাজের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। সেখানে তৃণমূলের মদতে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের বাঁধা দিয়ে আটকানোর সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ তৃণমূলের হয়েই কাজ করছে। বিজেপির শান্তিপূর্ণ বনধকে ভেস্তে দিতে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের আটক করছে। ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাই এমন ঘৃণ্য রাজনীতিকে। এই ভাবে বিজেপি কে দমানো যাবে না।আগামী দিনে আরও জোরালো আন্দোলনে নামবো আমরা।”