Arrested 2 after the video of the conversation between BJP leaders went viral before the Nabanna campaign on the RG KAR issue.
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: আরজি ইস্যুতে আগামীকাল বিজেপির নবান্ন অভিযানের ।ঠিক আগেই পুলিশের হাতে এলো দুটি ভাইরাল ভিডিও। যেখানে বিজেপি নেতারা একে অপরের সঙ্গে কথোপকথনে বলছেন-” কালকে একেবারে জঙ্গী আন্দোলন প্রয়োজন। যাতে পুলিশ বাধ্য হয় গুলি চালাতে। এক দুটো বডি ফেলতেই হবে। বডি না পড়লে এই আন্দোলন আর বেশি দিন টেনে নিয়ে যাওয়া যাবে না।” ভিডিও হাতে পেয়েই পুলিশ বিজেপির দুই নেতাকে আটক করে জেরা শুরু করল। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানান-” দুজনকে ডেকে জেরা করা হচ্ছে। সমস্ত দিক ঘটিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল দুটি ভিডিও কে ঘিরে তোলপাড়। অভিযুক্ত তিন নেতা হলেন বিপ্লব মাল- চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বিজেপির মন্ডল সভাপতি। সৌমেন চ্যাটার্জি- বিজেপির রাজ্য সমবায় সমিতির কো কনভেনার।খড়ার মিউনিসিপ্যালিটির বিজেপির একমাত্র কাউন্সিলর বাবলু গাঙ্গুলী। অভিযোগ- সেই ভিডিওতে বিজেপি তিন নেতার কথোপকথনে বলা হচ্ছে- “আগামীকাল এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হবে যাতে পুলিশ বাধ্য হয় রবার বুলেট চালাতে এবং তারপরেই যে পরিস্থিতি হবে তাতে এক দুটো লাশ পড়তেও পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত কোন লাশ না পড়ছে এই আন্দোলন মাইলেজ পাবেনা। পরিস্থিতি যেমনই থাকুক না যেন পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। তেমনি পরিস্থিতি তৈরি করা হবে।
তা না হলে এই আন্দোলন আর বেশি দিন টেনে নিয়ে যাওয়া যাবে না। নবান্নে অভিযান শেষ, তারপরেই বন্ধ হয়ে যাবে আন্দোলন।”বিজেপির এই তিন নেতার ভিডিও ভাইরালের পরেই রীতিমতো শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।প্রসঙ্গত -এই ইসুকে ঘিরে আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই বিজেপি বলে এসেছে এই আন্দোলনে সাথে তাদের সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু নবান্ন অভিযানের ঠিক আগেই তিন বিজেপি নেতার ভিডিও ক্লিপ বলছে অন্যরকম কথা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই ঘাটাল থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য নিয়ে এসেছে বাবলু গাঙ্গুলী এবং সৌমেন চ্যাটার্জি কে। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার নিজে জেরা করেছেন তাদের।
যদিও বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট এর দাবি- “আন্দোলনে যাতে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা শামিল হতে না পারে তার জন্য পরিকল্পনা মাফিক তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে এইসব কাজ করিয়েছে। মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে আমাদের কর্মীদের আটক করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের না ছাড়লে থানা ঘেরাও করবো আমরা।”এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার ধৃতমান সরকার বলেন-” সব খতিয়ে রাখা হচ্ছে। দুজনকে আটক করে জেরা হচ্ছে। সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে রাখা হচ্ছে।”