Suddenly, the Chief Minister’s trip to Delhi is suspended!
ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২৭ তারিখ নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। শেষ মুহূর্তে সফরসূচিতে রদবদল। বৃহস্পতিবারের বদলে শুক্রবার দিল্লি যেতে পারেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের পর এটাই তাঁর প্রথম দিল্লি যাত্রা। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকার অভিযোগ করে আসছে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বাংলা পাচ্ছে না।
কেন্দ্রের তরফ থেকে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ কার্যত অজুহাত বলেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেছে রাজ্য সরকার। নির্বাচনের আগে থেকেই রাজনৈতিক মঞ্চে মাঠে-ময়দানে একই অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। একশো দিনের কাজ, আবাসের টাকা-সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে বারবার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। এমনকি রাজভবনের বাইরে ধরনাতেও সামিল হয়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাংসদরা। পাল্টা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের শাসক নেতারা বাংলায় এসে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের সমীকরণ নির্বাচনের ফলে দেখেছে বঙ্গবাসী। এবার কোমর বেঁধে ফের আসরে নামছে তৃণমূল।তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক সংঘাতের কারণেই বাংলাকে আলাদা করে টার্গেট করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার রাজ্যের দাবিদাওয়া গুলোকেই তুলে ধরবেন।আরও দুটো বিষয় দেখার রয়েছে। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাদা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও বৈঠক করবেন কিনা, দ্বিতীয়ত, শুক্রবার দলীয় সাংসদদের সঙ্গেই দিল্লির বঙ্গভবনে বৈঠক রয়েছে মমতার।
সেখানে চলতি বাজেট অধিবেশনে তৃণমূলের কী স্ট্র্যাটেজি থাকবে, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অভ্যন্তরে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে, একাধিক সময়ে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের যে মতান্তর দেখা দিয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কীভাবে সমঝোতা তৈরি হবে, এই বিষয়গুলো মমতার দিল্লি যাত্রার ‘কি-পয়েন্ট’ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে এতো সবের মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর বাতিল করার পিছনে কি সংজ্ঞা রয়েছে, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।