বহুতলে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া বেশিরভাগ মানুষ ভারতীয়। কেউ ইঞ্জিনিয়ার কেউ আবার ঠিকা্ শ্রমিক। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ ভারতীয় এছাড়া রয়েছেন পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কয়েকজন। কুয়েতের বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তারা মারা গিয়েছেন তারা অনেকেই কেরল রাজ্যের বাসিন্দা। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে তারা কাজ করতে গিয়েছিলেন সেখানে। কুয়েতের বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত মেদিনীপুরের বাসিন্দা দ্বারিকেশ পট্টনায়ক। বছর ৫২ র দাড়িকেশ পট্টনায়ক পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার।
তিনি কুয়েতে গিয়েছিলেন কাজ করতে। শনিবার সকালবেলা তার দেহ এসে পৌঁছায় কলকাতা বিমানবন্দরে। রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে কুয়েত থেকে শুক্রবার দুপুরে দ্বারিকেশ এর দেহ কোচি বিমানবন্দরে চলে আসে।
কেরালায় মৃত শ্রমিকদের মরদেহ সনাক্ত করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় কলকাতা বিমানবন্দরে তার দেহ আনা হয়। এরপর তার দেহ মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লী এবং পরে দাতনে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির পরাজিত প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন মিজোরামের ব্রিজ বিপর্যয় কিংবা কাশ্মীরে জঙ্গি হানার মৃত্যু সব ক্ষেত্রেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম এসেছে। বাংলায় কাজ নেই তাই কুয়েতে নিজের পরিবার ছেড়ে যেতে হয়েছিল দ্বারিকেশ বাবুকে।
গতকাল মৃতের পরিবারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলে সমবেদনা জানিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। অভিষেক ব্যানার্জিকে তুলধোনা করে অগ্নিমিত্রা বলেন, চিকিৎসা করাতেই বা ছুটি কাটাতে নয় পেট চালাতে যেতে হয়েছিল ওই ইঞ্জিনিয়ারকে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন সব রকম ভাবে মৃতের পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।