এখনই শেয়ার করুন।

ধিকিধিকি আগুন জ্বলছিলই। এবার কার্যত অশান্তির বিস্ফোরণ ঘটলো সন্দেশখালিতে। ভোট শেষের লগ্নে রণক্ষেত্র সন্দেশখালির রাজবাড়ি এলাকা। পুলিশের দিকে কার্যত উড়ে এলো একের পর এক আঁতলা ইট। আর সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে পালটা চালাতে হল লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস। গণতন্ত্রের উৎসবে এমন হিংসাত্মক ছবিও ধরা পড়ল শেষ দফায়।যা জানা যাচ্ছে, তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই ব্যক্তি নির্দোষ। প্রায় আধ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ সেই বিক্ষোভ হঠাতে গেলে ইটবৃষ্টি শুরু হয় এলাকায়।

পুলিশের দিকে উড়ে আসে বড় বড় পাথর। কার্যত খণ্ডযুদ্ধের আকার নেয়। এমনকি বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র ওই আটক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তাঁকেও বাধা দেয় পুলিশ। ফলে কার্যত সব বিষয় নিয়েই উত্তপ্ত সন্দেশখালির রাজবাড়ি এলাকা। সম্পূর্ণ স্তব্ধ বাসন্তী হাইওয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয় পুলিশকে। অভিযোগ, সন্দেশখালিতে সকাল থেকেই বার বার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি এবং তৃণমূল। সংঘর্ষে আহত হন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি-সহ দু’জন। এক জন বিজেপি কর্মীও আহত হয়েছেন। একই সাথে সন্দেশখালির বয়ারমারিতেও বাড়ছে উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। যার জেরে চলছে পথ অবরোধ।একদিকে রাজবাড়ি এলাকায় স্থানীয় এক মহিলা আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রাজবাড়ি ফাঁড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অন্য দিকে, বয়ারমারিতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। পুলিশ এসে সেই অবরোধ তুলে দেয়।

এর পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা বয়ারমারিতে বাসন্তী সড়ক অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। আর সব মিলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সন্দেশখালি জুড়ে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *