বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হল লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর প্রচার পর্ব। আর প্রায় একই সময়ে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালের ধ্যান মণ্ডপে ধ্যানে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যান করেছিলেন, সেই স্থানেই টানা ৪৫ ঘণ্টা ধরে ধ্যান করার কথা তাঁর। ১ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত ধ্যান মন্ডপেই থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সন্ধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ হওয়ার পর, কেরলের তিরুবনন্তপুরম থেকে হেলিকপ্টারে কন্যাকুমারীতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদী।প্রথমেই তিনি ভগবতী আম্মান মন্দিরে উপাসনা করেন।
এরপর তিনি যান বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে। সেখানে, স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে, ধ্যানে বসেন প্রধানমন্ত্রী। ১ জুন ধ্যান ভঙ্গের পর, কন্যাকুমারী ছাড়ার আগে, স্মৃতিসৌধের পাশে তামিল কবি, তিরুভাল্লুভারের মূর্তি পরিদর্শন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ৪৫ ঘণ্টা ধরে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এই স্মৃতিসৌধকে ঘিরে ভারী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোদী যতক্ষণ সেখানে থাকবেন, প্রায় ২,০০০ পুলিশ কর্মী অষ্টপ্রহর পাহারা দেবে। সমুদ্র থেকে নজরদারি চালাবে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং ভারতীয় নৌবাহিনীও।নির্বাচনী প্রচারের শেষে আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান করাটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য কোনও নতুন বিষয় নয়। ২০১৯-এ তিনি কেদারনাথে গিয়েছিলেন। সেখানে এক সুউচ্চ পাহাড়ি গুহায় ধ্যান করেছিলেন তিনি। আর ২০১৪ সালে নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার পর, তিনি ছত্রপতি শিবাজীর স্মৃতি-বিজড়িত প্রতাপগড়ে গিয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে তামিলনাড়ুতে ভাল ফল করার আশা করছে গেরুয়া শিবির।
তাই প্রচারের শুরুর দিন থেকেই বারংবার এই দক্ষিণী রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ে গত জানুয়ারি থেকে নবমবার তামিলনাড়ুতে এলেন তিনি।তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই প্রচার পরবর্তী ধ্যানের বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা। ইন্ডিয়া জোটের নেতারা, দাবি করেছেন, মোদীর ধ্য়ান টেলিভিশনে সম্প্রচার করা যাবে না। তাতে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হবে বলে দাবি করেছে তারা। তবে এই সব বিষয়কে আমূল দিচ্ছেন না মোদী। আপাতত তিনি ভালো ফলের আশায় ধ্যানেই রইলেন।