গেল কৃষকের, দায় কার?* বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এক গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের লাউদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমরাশোল মৌজায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তার চাষের জমিতে প্রায় ১১ হাজার ভোল্টের তার ঝুঁলে ছিল। ঝুলে থাকা তারে বিদ্যুৎ পরিবহন হচ্ছিল।
আর তাতেই মৃত্যু হয় এক ব্যক্তি সহ একটি মহিষের। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীরা দেখতে পায় একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে চাষের জমিতে পাশেই রয়েছে একটি মহিষের মৃতদেহ। ছুটে যান সাধারণ মানুষ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এই এলাকায়। আর সেই ঝড় বৃষ্টির কারণে একটি হাইভোল্টেজ তার ছিড়ে পড়ে কৃষি জমির উপর। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে এই তার। বিদ্যুৎ দপ্তরকে বারবার জানানো সত্ত্বেও তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না বলে অভিযোগ। নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়ে ওই তারের সংস্পর্শে আসতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এক ব্যক্তি।
এরপরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত ব্যক্তির নাম অরুন মান্দি তার বাড়ি লাউদহ গ্রামে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চাষের জমিতে কেন লাগানো হয়েছিল বৈদ্যুতিক তার। জানা গিয়েছে জমিতে একটি মিনি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। অথচ দীর্ঘদিন ওই মিনি ঘর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তারপরেও বিদ্যুৎ দপ্তর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি।
এর আগে একটি গরু এবং পাখি বিদ্যুৎ সংস্পর্শে এসে মারা গিয়েছে। এবার এই ঘটনার বলি হলেন একজন মানুষ। মানুষের মৃত্যু এবং মহিষের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের দাবী জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দপ্তর নীরব। অবিলম্বে এই তার তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুক বিদ্যুৎ দপ্তর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।