ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দুটো চোখে কোনদিন পৃথিবী দর্শন হয়নি। কিন্তু মনের চোখ দিয়ে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষের চোখে আজ তিনি সেরার সেরা। তিনি হলেন আফরিদা।
দুচোখে অন্ধ হলেও মনের জোরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করল এই জন্মান্ধ মেয়েটি। রাইটারের সাহায্যে মাধ্যমিকে 80 শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে মালদার আফরিদা। মনের জোর আর কঠোর অধ্যাবসায় আফ্রিদাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সাফল্যের পথে। ছেলেবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী মেয়ে। বরাবর শিক্ষকদের ভারী প্রিয় আফ্রিদা। মালদার ইংলিশ বাজার ব্লকের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদিয়া বাধাগাছ এলাকার বাড়ি। তার বয়স ১৬ বছর। বাবার নাম পিয়ার আলী।
মেয়ের জন্মের পর থেকেই বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা কম ছিল না কি করে মেয়েকে পড়াশুনা শেখাবেন বিয়ে দেবেন। কিন্তু মেধাবী ছাত্রী আফরিদা হেলেন কেলারের থেকে পেয়েছিল অনুপ্রেরণা। তাই দুই চোখের অন্ধকার দূর করতে শিক্ষায় আলোকিত হওয়ার প্রয়াস নিয়েছে সে। শোভানগর হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে আফ্রিদা ।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় বৃহস্পতিবার তাতেই দেখা যায় নজর কাড়া সাফল্য করেছে এই মেয়েটি। তার ঝুলিতে এসেছে 564 নম্বর যা শতাংশের বিচারে আশি। ছোটবেলায় মঙ্গলবাড়ী আর পিড়ায় মেমোরিয়াল ব্লাইন্ড স্কুল থেকে পড়াশোনা করে সে। কিন্তু তারপর আর ব্লাইন্ড স্কুলে নয় সাধারণের মতন হাই স্কুলে পড়াশোনা করে আফরিদা। এই ফলাফলে বেজায় খুশি তার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা।