ইলেকটরাল বন্ড বা নির্বাচন তহবিল কাণ্ড নিয়ে সরগরম দেশ। এই ইলেকটরাল বন্ড নিয়ে এবার বিপাকে পড়েছেন রিসোর্ট মালিক। আদালতের দ্বারস্থ রিসর্টের মালিক জিয়াউর রহমান। প্রথমে পুলিশের দুয়ারে গিয়েও হয়নি সুরাহা তাই এবার সোজা হাইকোর্টে রিসোর্ট মালিক। অভিযোগ ডুয়ার্সের বানারহাট থানা এলাকায় থাকা ফান সিটি রেসর্টের মালিক জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে নির্বাচনী তহবিলে টাকা আদায় করবার দাবি জানিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পৃথ্বীরাজ ছেত্রী এবং ব্লক সভাপতি প্রেম ছেত্রী।
নির্বাচনী বন্ধের নামে তার কাছ থেকে মোটা টাকা চাঁদা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। দাবি মেনে ১৭ হাজার টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দাবি আরো বেশি থাকায় অভিমানবশত সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেন তৃণমূল নেতারা।
গত একুশে এপ্রিল তার রিসোর্টে দলবল নিয়ে হামলাতলায় তৃণমূল নেতা। অস্ত্রসহ ঢুকে অশ্লীল গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। জোর পূর্বক গেটে তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। রিসোর্ট এবং বিনোদন পার্ক বন্ধ হয়ে যায় কারণ সেখানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। বিষয়টি নিয়ে বানারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ রিসিভ কপি দেয়নি বলে অভিযোগ। এরপর দিশাহারা জিয়াউর বাবু গত ২২শে এপ্রিল জলপাইগুড়িতে এসে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিন্তু পুলিশ সুপার ও কোন সমাধান সূত্র বার করতে পারেননি।
এদিকে রিসোর্টে তালা পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। দাবি মত টাকা দিতে না পারায় আমার মক্কেলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাই আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলাম হাইকোর্ট মামলা গ্রহণ করেছে শীঘ্রই শুনানি হবে এমনটাই জানিয়েছেন জিয়াউর রহমানের আইনজীবী গোপাল সাহ।