ভোটকর্মী ও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও প্রেস নোট জারি, ভোট কর্মীদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি ও ফাঁস হওয়ার তথ্য বাতিল করে নতুন তালিকা তৈরি, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বেআইনিভাবে দেওয়া ভোটের ডিউটি প্রত্যাহার, ভোট কর্মী, গণনা কর্মী এবং বিএলও-দের রেমুনারেশন ও ভাতা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবিতে সিইও দপ্তরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
তারপর ডেপুটেশন গ্রহণ করেন অ্যাডিশনাল সিইও দিব্যেন্দু দাস। তিনি আশ্বস্ত করেছেন এবার প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছি যদি তাই হয় তাহলে ২০১৯ সালের মতো ভোট কর্মীদের উদ্দেশ্যে ‘প্রেস নোট’ জারি করতে হবে। এ ব্যাপারে সিইওর সঙ্গে কথা বলে তিনি উদ্যোগ নেবেন। প্রতিটি বুথে ওয়েবকাস্টিং হবে যা এআই দ্বারা কন্ট্রোল করা হবে।ভোট কর্মীদের তথ্য ফাঁস এর বিরুদ্ধে জানালে তিনি জানিয়েছেন এটা বিরাট অপরাধ। মেলে আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরবঙ্গে জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তথ্যফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর লঞ্চ করতে। তার ভিত্তিতে আমরা দাবি জানিয়েছি, ফাঁস হওয়া তালিকা নতুন ভাবে তৈরি করতে হবে।
সে ব্যাপারেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।বিশেষভাবে সক্ষমদের ডিউটি দেওয়ার বিরুদ্ধে একটি তালিকা তার হাতে তুলে ধরলে তিনি জানান এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সক্ষমদের আশ্বস্ত করুন। জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হবে তাদের নাম প্রত্যাহারের জন্য। রিমুনারেশন বৃদ্ধির বিষয়টি পরবর্তীতে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান। রিফ্রেশমেন্টের যথাযথ অর্থ ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আমরা জানিয়েছি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিটি বুথে সেন্ট্রাল ফোর্স না থাকলে যে বুথে তা থাকবে না সেখানে ভোট কর্মীর ডিউটি বয়কট হবে এবং অতি সত্তর প্রেস নোট জারি করতে হবে। বাকি সমস্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হলে আবার বিক্ষোভ প্রতিবাদ আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।