পানিপুরি ফুচকা হোক কিংবা গোলগাপ্পা। শুধু রসনা তৃপ্তি নয় বরং প্রাণ এবং মনের আরামে রাস্তার ধারে গপা গপ মুখে পড়ে দেন খাদ্য রসিক রা। ফুচকা খেতে গেলে অবশ্য খাদ্য রসিক হতে হবে না, আসর জমিয়ে দিলেই ব্যাস। তবে এই ফুচকা নিয়ে এবার খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের বিশেষ গবেষণা। যে ফুচকা এন্তার খাচ্ছেন পুরুষ থেকে মহিলারা। অন্যান্য লোভনীয় খাদ্যের তুলনায় যে ফুচকার দোকানে পড়ছে লম্বা লাইন। সেই ফুচকা এবার স্ক্যানারে। সম্প্রতি ২০০৭ টি ফুচকা নমুনা পরীক্ষা করেছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।
তার মধ্যে ২২ শতাংশই নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি বলে অভিযোগ। কৃত্রিম রং এবং ক্যান্সারজনিত রাসায়নিক মেশানোর ফলে তা খেতে সুস্বাদু হলেও স্বাস্থ্যের অযোগ্য বলে জানিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।। বছরখানেক আগে কর্নাটকের সবচেয়ে বিখ্যাত খাবার গোবি মাঞ্চুরিয়ান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এতে মেশানো হতো রোডেমাইন বি নামের একটি বিশেষ রাসায়নিক যা ক্যান্সারের অন্যতম ঘাতক। কিন্তু ফুচকায় কি রয়েছে। খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন বেশ কিছু নমুনায় ব্রিলিয়ান্ট ব্লু, তারট্রজন, সানসেট ইয়োলোর মতন রং মেশানো হচ্ছে। যা শুধু পেটের ক্ষতি করছে এমনটা নয়, ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম এলিমেন্ট রয়েছে এতে। সম্প্রতি খাদ্য সুরক্ষা কমিশনার জানিয়েছেন সারা রাজ্য থেকে এমন অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসে থেকে কর্ণাটক খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।
মুখের স্বাদ বারানোর জন্য এই ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার আখেরে ক্ষতি করছে। তবে নির্ভেজাল টক জল আর আলু মাখা ফুচকা এক্ষেত্রে কোন অভিযোগের দাবিই রাখে না।