Wild food is no more wild, now everything is tempting in the net world.

বিশেষ সংবাদদাতা সংবাদ জনকন্ঠ:-একটা সময় নাম ছিল জংলি খাবার, অর্থাৎ জঙ্গলের সাথে নিবিড় সম্পর্ক যাদের তাদের নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় যে খাবারগুলি স্থান পেত সেগুলো এই নামেই তথাকথিত সুশীল সমাজের কাছে তকমা পেত।কিন্তু দিন পাল্টায় সময় পাল্টায় বর্তমানে সেই খাবার ই সুস্বাদু লোভনীয় খাবার হিসেবে শহরের পর্যটকদের কাছে অতি আকর্ষণীয়।

অবশ্য এই সিংহভাগ ক্রেডিট ই নেট দুনিয়ায় প্রাপ্য।দেশের পর্যটন মানচিত্রে জঙ্গলঘেষা যে স্থানগুলো আছে সেখানের বিভিন্ন হোমস্টে গুলোতে এলাকার জনজাতিদের তৈরি করা বা সংগ্রহ করা স্থানীয় খাবার পাওয়া যায়।সেখানকার রন্ধনকর্মীরা ওই খাবার তৈরি করেন।
আগে ওই খাবারকে জংলি খাবার বললেও, এখন শহরের পর্যটকরা ওই সুস্বাদু খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে খুবই আগ্রহী।ওই খাবারগুলি চাহিদা বাড়ছে, স্বাভাবিকভাবে লাভের মুখ দেখছেন বিক্রেতারা।
বেলপাহাড়ি ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে অস্থায়ী খাবার দোকান বসছে এবং জংলি খাবার এখন আকর্ষণীয়। বিকল্প রোজগারের জন্য ওখানকার স্থানীয় রন্ধনকর্মীরা ওই খাবার বিক্রি করছেন। ওই এলাকায় কুরকুট ও এর ডিম অন্যতম জনপ্রিয় খাদ্য। জঙ্গলমহলবাসীদের কাছে কুরকুটের বিভিন্ন পদ যেমন ঝোল, কুরকুট বাটা তারা খান।

এখন পর্যটকরাও কুরকুট সহ স্থানীয় খাবার খেতে চাইছেন। কি কি পাওয়া যাচ্ছে তথাকথিত জংলি খাবার হিসেবে।
শাল চিকেন, বাঁশে বিরিয়ানি মাংস পিঠে, বাঁশ মুরগি শালপাতায় পোড়া মাংস সহ রকমারি সুস্বাদু পদ।
মূলত কলকাতা সহ বিভিন্ন শহুরে পর্যটকদের ওই এলাকায় ওই খাবারগুলিই প্রথম পছন্দের তালিকায়।