নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : কাশ্মীরে পহেলগাঁউ জঙ্গীহানার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সন্ত্রাসবাদীদের হত্যা করে পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলের নিদান দিল পশ্চিমবঙ্গ অখিলভারত হিন্দুমহাসভা । রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য সন্ত্রাসবাদের কোন নির্দিষ্ট ধর্ম হয়না ঠিকই কিন্তু সন্ত্রাসবাদীরা যেহেতু পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে বেছে বেছে অমুসলমানদের হত্যা করেছে তাই এই বিষয়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদেরই সর্বাধিক গর্জে ওঠা উচিৎ কারণ আদপে সন্ত্রাসবাদীরা মুসলমান ধর্মকে কালিমালিপ্ত করছে ।
চন্দ্রচূড় বাবুর বক্তব্য কাশ্মীরি গরীব মানুষরাও মুসলমান ধর্মাবলম্বী এবং মূলত পর্যটনকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবন জীবিকা চলে । তাই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের কারণে সারা দেশের মানুষ কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়া বন্ধ করে দিলে তারা না খেতে পেয়ে মারা যাবেন, অথচ তাদের এই ভিখারীর মত পরিণতির জন্য ওই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জিহাদী জঙ্গী গোষ্ঠীরাই দায়ী ।
কাশ্মীরবাসীকে বুঝতে হবে “লস্কর ই তাইবা” কখনোই মুসলমানদের হিতাকাঙ্খী নয় কারণ তারা মুসলমানদের ভালো চাইলে কখনোই এমন কাজ করতোনা যাতে কাশ্মীরি মুসলমানদের রুটিরুজি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । ভারতের প্রধানমন্ত্রী নারন্দ্র মোদীর কাছে হিন্দুমহাসভার আবেদন লস্কর জঙ্গীদের হত্যা করে যেন জনসমক্ষে তাদের মৃতদেহে শুয়োরের তেল ও চর্বি মাখিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এতে নিশ্চই মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরা সর্বাধিক খুশি হবেন কারণ এতে প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামকে কালিমালিপ্তকারী সন্ত্রাসীদের সাথে মুসলমান ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই । শুধু তাই নয় কাশ্মীর পহেলগাঁউ এর মত ঘটনা চিরতরে বন্ধ করতে চাইলে ভারত সরকারের এখনই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করে ভূস্বর্গকে সন্ত্রাসমুক্ত করা উচিৎ , আর সেটা না হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বদলে যোগী আদিত্যনাথের মত যোগ্য করো প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত, যিনি সন্ত্রাসবাদের সাথে আপোষ করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রথম জীবনে বিজেপি করার আগে ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল অখিলভারত হিন্দুমহাসভার সদস্য ছিলেন ।